ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ।
আমরা অযু ভঙ্গের কারণ ও নামাজ ভঙ্গের কারণ জানি, তবে ঈমান ভঙ্গের কারণ জানি না, সুতরাং কিভাবে ঈমান ভঙ্গের কারণ গুলো জানতে পারব? একজন মুমিনের কাছে সবচাইতে মূল্যবান এবং দামী সম্পদ হলো তার ঈমান।
যদি কেউ ঈমান বিষয়কে অক্ষত রেখে, নিরাপদে রেখে, হেপাজতে রেখে, সংরক্ষিত রেখে দুনিয়া থেকে যেতে পারেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাতে সাক্ষাৎ করতে পারেন তাহলে তিনি হবেন চূড়ান্ত ভাবে সফল কাম এবং শেষ হাসি তিনিই হাসবেন।
- আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে ৩টি আমল করুন, হাতে নাতে ফল পাবেন
- আরও পড়ুনঃ শীতের ৬টি বিশেষ আমল জীবনে কখনো ছারবেন না
এই কারণে সাহাবাই কেরাম রেদোয়ান (আঃ) ঈমানকে অনেক বেশি পরিচর্যা করতেন, ঈমানের নবায়ন করতেন, ঈমানের খুজ কবর রাখতেন, ঈমান কিসে আসে কিসে জায়, কখন ভাঙ্গে, কখন কোন কথায় ঈমান নষ্ট হয়, কোন আচরণে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়।
তবে আমরা মনে করি মৃত্যু পর্যন্ত আর কখনো ঈমান যেতে পারেনা, ঈমান নষ্ট হতে পারেনা অথচ ঈবাদত বন্দেগী যেরকম ভঙ্গ হয় আবার ঝুরা লাগানো যায়, ঠিক তেমনি ভাবে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
যদি কোনো মুসলিম এমন হন যে, তার ঈমান কখনো কোনো কারণে ভঙ্গ হয়ে গেছে কিন্তু তিনি জানেন ও না আজীবন তিনি আমল করছেন, সালাত আদায় করছেন, সিয়াম করছেন, হজ করছেন, জাকাত দিচ্ছেন, উমরা করছেন, তিলাওয়াত করছেন, তাসবীহ তাহেল করছেন, জিকির করছেন অথচ তার ঈমান নেই।
এজন্য একজন মুসলিমের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার ঈমান কিসে আসে কিসে যায়, কখন ভঙ্গ হয়ে যায় আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে,
আমরা প্রায় সময় কেয়াল করি সরণ করার চেষ্টা করি আমাদের অযু আছে না চলে গেল, তবে আমাদের একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই ঈমানের কেয়াল রাকতে হবে।
আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক সাব্যস্ত করা
আল্লাহকে যে ভাবে ঈবাদত করে একি ঈবাদত কোনো মানুষ প্রাণী বা বস্তুুকে করলে তার ইমান বঙ্গ হয়ে যায়। এটি খুবি জগন্ন একটি কাজ এবং এটিকে শিরিকে আকবর বলা হয়,
শিরিকে আকবর যদি কোন ব্যাক্তি করে ফেলে তাহলে তার ইমান নষ্ট হয়ে যায়, অবশ্যই থাকে পুনরায় আবার ইমান আনতে হবে।
আল্লার সাথে বান্ধা যদি কোনো মাধ্যম সাবস্ত করে
আমাদের ধর্মে অনেক মানুষেরা মনে করেন যে আল্লাহকে পেতে হলে সরাসরি পাওয়া যাবেনা, অনেক দেবতার পূজা করে ঈশ্বর পর্যন্ত আল্লাহ পর্যন্ত যেতে হবে, এটির কারনেও ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়,
আবার ঈমানদার যদি মনে করেন আল্লাহকে পাইতে হলে আল্লার বান্ধা আছে তাদের মুরিদ হতে হবে অনাদেরকে ছাড়া আল্লাহকে পাওয়া যাবে না এরকম যদি মনে হয় তাহলেও ইমান বঙ্গ হয়ে যাবে।
যদি কেউ মনে করে যে ব্যক্তি অমুসলমান
কাফির, বেইমান, ইমান আনেন নাই কাউকে দেখে যদি এমন মনে হয় কিন্তু তিনি মুসলমান, তাহলে এগুলো বলার কারণে আপনার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে আপনি নিজেই কাফির হয়ে যাবেন।
একজন ব্যাক্তি যদি আল্লাহকে অবিশ্বাস করে এবং তার সাথে সহমত হন তাহলেও আপনার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।
যেই ব্যক্তি মালিকের অস্তিত্ব শিকার করে না সে কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য ঈমানদার হতে পারে না।
এজন্য যে বেইমান তাকে বেইমান মনে করতে হবে, যে ঈমানদার থাকে ঈমানদার মনে করতে হবে।
যদি কেউ মনে করেন নবী করিম ( সাঃ) এর অন্য কোনো আদর্শ উত্তম আছে
নবী করিম (সাঃ) যত বিধিবিধান নিয়ে এসেছেন এর কোনো টাকে অস্বীকার করে অপছন্দ করে গ্রিনা করে, কিছু মানুষ আছে যাদের বুদ্ধি সুদ্ধি এত কম এরা হিসাব নিকাশ চিনেন না,
তারা বলেন ইসলাম আমাকে ঠকিয়েছে, আমার এটা ভালাে লাগে নাই, তবে আপনার ভালো লাগুক আর না লাগুক আল্লাহ তায়ালা যা বলেছেন তার বিতরেই কল্যাণ আছে,
এজন্য যদি কেউ আল্লার কোনো নির্দেশকে রাসূল (সাঃ) এর বিদানকে অপছন্দ করে এর ফলে ঈমান চলে যায়।
আরেকটা হলো শরিয়তের কোনো বিষয় ঠাট্টা করলে তামাশা করলে সাথে সাথে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
ইসলামের শত্রুতা করে যারা
ইসলামের প্রতি শত্রুতা, তাদেরকে যারা সহযোগিতা করে ইসলামের ক্ষতি করার জন্য, ইসলামকে শত্রু মনে করে তাদের ইমান চলে যায়।
কিছু মানুষ আছে ইসলামের বিধি বিধানের উর্ধে উঠে গিয়েছে তারা ভাবে নামাজ কালাম করা লাগে না,
আমার নবীজি (সাঃ) তিনি মৃত্যুর আগ মূহুর্তে (বোখারী হাদীস) দুইজন সাহাবীর কাঁদে দুই হাত দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে তাদের শরীরের উপরে বড় ছেরে দিয়ে পাউ টাকে মাটির সাথে টানতে টানতে নিয়ে মসজিদে নামজ পরেছেন।
তাই যদি কোনো ব্যক্তি মনে করেন তার ইবাদত বন্দেগি করা লাগেনা এটা ঈমান ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
ঈমান ভঙ্গের আরেকটি কারণ হচ্ছে যাদু
জাদুকে যদি কেউ হালাল মনে করে, জাদুতে লিপ্ত হয় জাদুর মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা হয় এটাও ঈমান ভঙ্গের কারণ,
এবং আরেকটি কারণ হলো দিনের বেপারে ইসলামের বেপারে যে কোন খবর রাখেনা, নামাজ রোজার কোন খবর থাকেনা, শুধু নামেই মুসলমান তাদেরও ইমান নষ্ট হতে পারে।