শীতের ৬টি বিশেষ আমল জীবনে কখনো ছারবেন না 

শীতের যে মৌসুম সুরু হয়েছে, সে মৌসুম সম্পর্কে আমরা কিছু কথা বলতে চাই? এই মৌসুম উপলক্ষ্যে কোরআন ও হাদীসের আলোকে ছয়টি আমল আপনাদের সাথে সিয়ার করতে চাই, 

শীত অনেক এলাকাতে বেশ জুড়ে সুরে এসেছে, অনেক এলাকায় এখন ও শুরু হয়নাই, শীতের এই মৌসুমটির নাম কোরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা সূরা কুরাইসশে উল্লেখ করেছেন,[ইলা ফিহিম রিহ লাতাশ শিতা হি ওয়াসসুয়াইপ] আরবী এই শিতা থেকে কোরআনের শব্দ থেকে বাংলায় শীত শব্দটি এসেছে। 

এই শীতের মৌসুম উপলক্ষ্যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত (মোঃ) সাঃ একবার শীতের দিনে বের হলেন, হাদীসটি বিভিন্ন হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বের হয়ে দেখলেন যে শীতের সময় গাছের পাতা ঝরে যায় সাধারণত, 

একটা গাছের পাতা ঝরে গেছে সামান্য কিছু পাতা আছে সেগুলো ঝরে ঝরে ভাব, নবী (সাঃ) গাছটি ধরে একটু ঝাকা দিলেন, ঝাকোনি দেওয়ার পর অনেক গুলো পাতা আবার ঝরে পরল, তখন তিনি সাহাবীরা যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে বললেন,

শীতের মৌসুম আসলে গাছের পাতাগুলো ঝরে যায় আর এই যে আমি নারা দিলাম দেখ অনেক গুলো গাছের পাতা ঝরে পড়ল, যদি উত্তম ভাবে পবিত্রতা অর্জন করার পর একজন ইমানদার সর্ব উত্তম ভাবে, সুন্দর ভাবে, দিরস্তিতার সাতে, 

গুরুত্বের সাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বক্তির সাথে হক আদায় করে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত টিকটাক মত আদায় করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার গুনাহ গুলোকে এই গাছের পাতা যে রকম ঝরে শেষ হয়ে যায় তার গুনাহ গুলোকে আল্লাহ তায়ালা এরকম মাফ করে দেন।

জাহান্নাম থেকে পানা চাওয়া।

ইমানদার দুনিয়ার প্রত্যেক বিষয় থেকে সে শিক্ষা গ্রহন করবে, প্রতিটা মৌসুম উপলক্ষে কোরআন ও হাদীস থাকে সঠীক দিখ এবং নির্দেশনা দিয়েছে, 

শীতের মৌসুম উপলক্ষে নাবী করিম (সাঃ) এর একটি হাদীস সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে, সে হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাঃ) তায়ালা বর্ণনা করেছেন, নবী (সাঃ) বলেছেন, জাহান্নাম আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাঁছে একবার অনুরোধ করেছে, 

ফরিয়াদ করেছে, আল্লার কাঁছে জাহান্নাম বলেছে, আল্লাহ আমার এক অংশ অপর অংশকে কেয়ে পেলে, গিলে পেলে, আল্লাহ তায়ালা তখন দুটি নিশ্বাস চারার সুঝোগ দিলেন, একটি হচ্ছে গরম কালে আরেকটি হচ্ছে শীত কালে, নবী করিম এই হাদীস এর শেষে বলেছেন, 

দুনিয়ায়তে তোমরা যে গরমের তীব্রতা অনুভব কর এই হাদীস থেকে বোঝা যায় যে সেটি হলো জাহান্নামের তাপ, সে ভাব, সে নিশ্বাস, সে ত্যাগ তার একটি আলামত মাত্র। এজন্য শীতের মৌসুম আসলে একজন ইমানদারের প্রথম করণীয় হলো এই কথা অনুভব করা, উপলব্ধি করা, এই কথা মনের ভিতরে জাগ্রত করা।

শীতের মৌসুম উপলক্ষে নফল রোজা রাখা।

শীতের মৌসুমকে বিভিন্ন বর্ণনায় রাবিউল মুমিন বলা হয়েছে, অর্থাৎ এটা ইমানদারের জন্য বসন্তকাল, বসন্তকালে যে রকম ফল-ফসল ফুটে,

শীতের মৌসুমে ইমানদারের আমলের ফুল ফুটে, নাবী করিম ( সাঃ) তিরমিজি শরিফের একটি হাদীসে বলেছেন, আপনারা শীতের মৌসুমে রোজা রাখ, কারণ এই মৌসুমে দিন থাকে ছোট রাত থাকে বড়, এজন্য শীতের মৌসুম উপলক্ষে অন্যতম আমল হচ্ছে দিনের ভেলায় নফল রোজা রাখা।

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া

মহানবী ( সাঃ) বলেছেন, তাহাজ্জুদ যদি না পর ফজরের নামাজ যেন বাধ না পড়ে, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, কিছু মানুষের কাজ দেখলে আমল দেখলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেঁসে দেন, এর মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা বহু কষ্ট উপেক্ষা করে তারা উঠে যান এবং দারিয়ে সালাত আদায় করেন, 

তাদের দারিয়ে এই সালাত আদায় করা দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেঁসে দেন, এবং ফেরেস্তাদের কে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্ধা যা করল এটা কেনো করল, এই শীতে এই কষ্টে সবাই লেপে কম্বলের নিচে সুয়ে আছে, 

আর এ কনকনে শীতে সে কেন দারিয়ে সালাত আদয় করছে, তখন ফেরেস্তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে জবাব দিলেন, 

আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন যানেন সবকিছু, শুধু তাদের থেকে শুনতে ছেয়েছেন,

তারা জবাব দেন যে, আল্লাহ আপনার কাছে যে নিয়ামত আছে, পুরস্কার আছে, এটার প্রত্যাশায় তারা দারিয়ে সালাত আদায় করছে, আর আপনার কাছে যে আজাব আছে, সে আজাব থেকে পানা চেয়ে তারা এ কাজটি করছে, 

তখন আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন বলেন ফেরেস্তাদেরকে, তোমরা সাক্ষী থাক, যদি আমার রহমতের আশায়, জান্নাতের আশায়, বান্ধা এই ভোর রাতে কনকনে শীতে সালাতে সে উপস্থিত হয়ে যায়, 

আর আমার কাছে যে জাহান্নামের আাজাব রয়েছে আয়োজন রয়েছে, তার থেকে পানা চাওয়ার জন্য যদি সে উঠে থাকে তাহলে তাঁকে আমি আমার কাছে থাকা জান্নাত এবং জাহান্নাম এর উভয়টার গ্যারান্টি এবং ওয়াদা করে দিলাম। 

সে জন্য আমাদেরকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া উচিত।

শীতের মৌসুমে কষ্ট উপেক্ষা করে ওযু করা।

শীতের মৌসুমকে উপেক্ষা করে যারা ওযু করেন তাদেরকে এই ওযুর মধ্যমে  আল্লাহ তায়ালা তাদের ছোট<খাটু যত গুনাহ আছে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন এবং আল্লার কাছে জান্নাতি হিসাবে ইমানদার হিসাবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, তুমাদের কে আমি কি এমন কোনো আমলের কথা বলে দেবনা যে আমল গুলো গুনাহ মাফ করে দেয়, আর আল্লার কাছে মরজাদা বৃদ্ধি করে দেয়, 

অতএব শীতের মৌসুমে যত কষ্ট হবে সমস্ত কষ্ট উপেক্ষা করে হলেও ওযু করার মত সৎ-সাহস থাকতে হবে। 

শীতবস্র বিতরণ করা

এদেশে এখনও সতসত হাজার হাজার মানুষ শীতের সময় কনকনে শীতে কাপতে থাকে, শীত নিবারন করার মত প্রয়ুজনিয় শীতের কাপড় থাকে না, এই রকম পরিস্তিতে শুরু হবে বিশ্ব পাপ করার উম্মাদনার, একি সময় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বণী আদম কনকনে শীতে কাঁপতে থাকবে আমাদের বিবেক যেন জাগ্রত হয়, 

আমরা যেন মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করি, এই শীতের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে এটাকে উপলব্ধি করে যে আমি শীতের কাপড় আমার জন্য নিজের পরিবারের জন্য বাচ্চা<কাচ্চার জন্য যখন কিনব, আমার আশে পাশে থাকা মানুষ গুলোর জন্য একটি হলেও কিনে দিব।

সালাত সময়মত আদায় করা

নাবী করিম (সাঃ) আঃ শীতের মৌসুমে সালাত খুব তারাতারি পড়তেন, আর গরম হলে একটু দেরি করে পড়তেন, বিশেষ করে যোহরের নামাজ, তবে এরকম আরও অনেক আমল আছে যে আমল গুলো আমরা শীতের মৌসুমে করতে পারি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে আমল করবার তাউফিক দান করুন। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *