যতদিন বাঁচবেন ৫টি আমল কখনো ছাড়বে না
জুম্মার দিন শুক্রবার এটার উপলক্ষে অনেক গুলো আমল আছে, এটা হলো সপ্তাহের সেরা দিন শ্রেষ্ঠ দিন এটা হলো ঈমানদারের জন্য ঈদের দিন গরীবের উৎসবের দিন,
এজন্য এদিনে আলাদা করে রোজা রাখাও মাখরু, শুধু জুম্মার দিনের উপলক্ষে রোজা. রাখার পড় উলামায়ে কেরাম নিষেধ করেন, হ্যা কেউ চান্দ্র মাসের তেরো চৌদ্দু পনেরো বেইজে রোজা রেখেছেন,
সে হিসেবে শুক্রবার পড়ে গেছে সেটা হলো ভিন্ন কথা, কিন্তু এটা ছাড়া এমনিতে শুক্রবার হিসেবে রোজা রাখা যাবে না, আজ আমরা জানব জুম্মার দিন উপলক্ষে সবচেয়ে বড় আমল কি এবং আমাদের কে কি কি আমল করতে হবে।
দরুদ শরীফের আমল
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন তোমরা জুম্মার দিন এবং জুম্মার রাত এ অবয় টাতে তোমরা আমার প্রতি বেশি বেশি করে দরুদ পাঠ কর, আমার জন্য আল্লার কাছে দোয়া পেশ কর,
কারণ তোমরা যে দরুদ পাঠ কর আমার জন্য এটা আল্লার ফেরেস্তারা আমার কাছে নিয়ে পেশ করে, বলে যে আল্লাহ রাসূল পৃথিবীর অমুক দেশ থেকে অমুক প্রান্ত থেকে অমুকের ছেলে বা মেয়ে আপনার জন্য দরুদ পেশ করেছে,
দরুদ হলো নবী (সাঃ) এর দোয়া, অনার জন্য আমরা দোয়া করলে আমাদের লাভ, আল্লাহ তায়ালাত তাঁর রাসূলে প্রতি রহমত এমনিতেই নাজিল করবেন,
আমরা বললেও করবেন না বললেও করবেন, কিন্তুু আমরা যদি দোয়া করি তাহলে সে ক্ষেত্রে অনার লাভ হক বা না হক আমাদের লাভ নিশ্চিত,
আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সাঃ) কে অনেক ভালবাসতেন অনেক মোহাব্বত করেন, তাঁর নবীর জন্য কেউ দোয়া করলে আল্লাহ তাঁর প্রতি রহমত নাজিল করেন, আর সুধু রহমত নাজিল না,
নবী (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করে একবার নবীর জন্য দোয়া করে আল্লাহ ওই ব্যক্তির প্রতি দশবার রহমত নাজিল করেন,
তাহলে প্রতি সপ্তাহে জুম্মার দিনে জুম্মার রাতে একশো-দুইশো-তিনশো একহাজার বার করে যদি দরুদ প্রেরণ করতে পারেন তাহলে এই দশবার গুন করে আপনি হিসাব করেন যে কতবার আল্লাহ তায়ালার রহমতের হকদার বাগী দার পাওনা দার হয়ে যাবেন,
দরুদ পাঠের শ্রেষ্ঠ দিন শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে জুম্মার দিন, এজন্য আমাদেরকে দরুদ বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে।
জুম্মার দিন ফজরের নামাজ পুরুষদের জামাতের সাতে পড়া
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যত নামাজ আছে অক্তিয়া, এই অক্তিয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আল্লার কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ হলো জুম্মার দিনে পুরুষরা ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়া,
এজন্য সপ্তাহে অন্য সব দিনত পড়বেনই জুম্মার দিন আর বিষেশ গুরুত্বের সাথে অবশ্যই জামাতের সাথে ফজরের নামাজ পড়তে হবে,
কিন্তুু শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়া খুব কঠিন হয়, কারণ শুক্রবার আপনার অফিস আদালত থাকে না দোকান পাঠ থাকে না স্কুল থাকে মাদ্রাসা থাকে না,
তখন আমরা মনে করি শুক্রবার সকালে একটা লম্বা গুম দেওয়া যাবে, বিদায় ফজরের নামাজ অনেকেই জামাতের সাথে পড়তে পাড়ে না,
এজন্য আমাদের কে কোনো অলসতা না করে জুম্মার দিনে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
জুম্মার দিনে চারটি কাজ করা
জুম্মার দিনে চারটি আমলের মধ্যে একটি আমল, নবী (সাঃ) বলেছেন জুম্মার দিনে আগে আগে গুম থেকে উঠবে, ভোরে উঠে ফজরের নামাজ পড়বে,
ফরজ গুসল হলে ফরজ গোসল করবে, এবং উত্তম ভাবে গোসল করবে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাবে, কোনে বাহানা চলবে না, আগে আগে যাবে ঈমানের খুব কাছাকাছি গিয়ে বসবে,
এবং খোতবা শেষ হবে নামাজ শেষ হবে এর মধ্যে কোনো বেহুদা কথা বলা যাবে না, বেহুদা কাজ করবে না, নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করবে, চুপ চাপ খোতবা শোনবে,
এ চার কাজ যদি কেউ করে নবী (সাঃ) বলেচেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন থাকে এ কাজ গুলোর বিনি ময়ে সে যে বাসা থেকে পায়ে হেঁটে মসজিদে গেল আসল প্রতি কদমে এক বছর রাত জেগে নফল নামাজ পড়া আর দিনে নফল নামাজ পড়ার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা তাকে দান করবেন।
অনেক মুহাদ্দিস এবং অনেক হাদীসে উলামায়ে কেরাম বলেছেন কোরআন হাদীসের যত আমলের যত ফজিলতের কথা বলা আছে এর চাইতে আর কোনো ফজিলত বর্ণ আমল আর একটাও নেই,
সূরায়ে কাহাফ তেলাওয়াত করা
আমরা এমন একটা সময়ে আছি কিয়ামত যে খুব নিকট বর্তি হয়ে গেছে সেটা বিভিন্ন আলামত দ্বারা বোঝা যায়, নবী করিম (সাঃ) কিয়ামতের শতাধিক আলামতের কথা বিভিন্ন হাদীসে বলেছেন,
সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেবিধি মুহাম্মাদ আলাইফি তিনি তাঁর একটা বইয়ের একশো একচল্লিশটা আলামতের বিবরণ তোলে ধরেছেন,
এর ভিতরে একশো একত্রিশটা হলো কিয়ামতের ছোট একটা আলামত,
আর দশটা হলো বড় আলামত, কিয়ামতের ছোট আলামত বলা হয় ওই গুলো কে যে গুলো কিয়ামতের অনেক আগে থেকে দেখা যায়, আর কিয়ামতের বড় আলামত গুলো হলো যে গুলো কিয়ামতের একবারে শেষ দিকে গিয়ে দেখা দিবে,
নবী (সাঃ) বলেছেন এক সময় যারা ছাগলের রাখালি করত কিন্তুু তারাই এখন বিশাল বড় বড় দালান কোটার মাল করতাছে, নবী (সাঃ) কিয়ামতের যে আলামত গুলোর কথা বলেছেন এ আলামত গুলোর বেশিরভাগ প্রকাশ পেয়েগেছে,
কিন্তুু বড় দশটা আলামত একনও প্রকাশ পায়নি, এগুলো আসবে এবং কিয়ামতের আগে একটা একটা করে হবে, তিনটি বড় বড় ভুমিকম্প হবে আগুন ভেড় হবে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে,
ইসা আঃ নাজিল হবে, মাহাদী আসবে দাজ্জাল আসবে এবং পাহাড় ফেটে একটা প্রাণী বেরিয়ে আসবে, কিয়ামতের আগের শেষ মূহুর্তে বড় বড় এই দশটি আলামত গঠবে,
অতএব আমাদেরকে নবীজির সব কথা মানতে হবে, নবী (সাঃ) বলেছেন শেষ জামানাতে কিয়ামতের আগে ঈমান ধরে রাখা এটা হলো হাতে জলন্ত কয়লা মোট করে ধরে রাখার চাইতে কঠিন,
এটা যেরকম কঠিন কাজ ঈমান রাখা ও কঠিন কাজ, এই রকম সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ঈমান কে আমল কে তাকওয়াকে ফেতবা মুক্ত রাখুক,
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন সূরা কাহাফ যে জুম্মার দিনে তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য আলোর কাজ দিবে, এই সূরা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালা পথ দেখাবেন,
বিষেশ করে সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত যদি কেউ তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচাবেন, তাহলে আমাদের কে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করার চেষ্টা করতে হবে।
জুম্মার দিনে একটা সময় দোয়া কবুল হয়
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন জুম্মার দিনে বান্দার একটা দোয়া কবুল হবে ফেরত দেওয়া হবে না, তবে সেই দোয়াটি যে কোন সময়ের দোয়া এটা হাদীসে নবী (সাঃ) বলেন নাই,
মুহাদ্দিস গন হাদীস বিষারত গন বিশ্লেকষক উলামায়ে কেরাম গবেষণা করে বিভিন্ন রকমের সময় বের করেছেন,
কেউ জুম্মার নামাজের আগে পড়ে বিভিন্ন সময়ের কথা বলেছেন, কেউ অন্য সময়ের কথা বলেছেন, তবে বেশির ভাগ উলামাদের মত হলো জুম্মার দিন শেষ প্রহর অর্থাৎ সূর্য আসরের পড় থেকে নিয়ে সূর্য ডুবার আগ মূহুর্তে দোয়া কবুল হয়,
এজন্য আল্লার নেক কার ঈমানদার মুত্তাকির ফরজ কার আল্লাহ ওয়ালা মানুষ দেরকে দেখবেন জুম্মার দিন সূর্য ডুবার আগে তাঁর দোয়ায় মসগুল হয়ে যায়,দোয়ায়ে মগ্ন হন,
তাহলে আমাদের কে বিষেশ করে এই পাঁচটি আমল গুরুত্বের সাথে করতে হবে।