প্রতিদিন সকালে ৩টি আমল করুন, হাতে নাতে ফল পাবেন।
সূরায়ে ফালাক এবং সূরায়ে নাস এই দুইটি সূরাকে বলা হয় মোআওয়াজাকাইন। মোআওয়াজাকাইন হলো, সূরায়ে ফালাক সূরায়ে নাস, অর্থাৎ এই দুইটা সূরা দিয়ে আল্লার কাছে আশ্রয় ছাওয়া হয়, আল্লার কাছে এপ্লিকেশন বিপদে-আপদে, মুসিবতে মহান রবের কাছে আশ্রয় ছাওয়া হয়, এজন্য এ সূরাকে বলা হয় মোআওয়াজাকাইন।
অতএব আপনি যদি ইয়াকিনের সাতে সূরায়ে ফালাক সূরায়ে নাস বিষেশ করে এই দুটি সূরা, সূরা ইখলাস সহ পড়তে পারলে আরো ভালো, এই তিনটি সূরা যদি আপনি পড়ে আপনার সন্তান কে বা নিজের শরীরে পুদিন, তাহলে সব বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন। নবী করিম (সাঃ) সূরায়ে ফালাক সূরায়ে নাস এই দুটি সূরা পরে নিজের শরীরে প্রায় পুদিতেন, এই জন্য এই সূরা পড়া আমাদে উচিৎ।
আরও পড়ুনঃ শীতের ৬টি বিশেষ আমল জীবনে কখনো ছারবেন না
আরও পড়ুনঃ ১১ শ্রেণির সেরা ও ভাল মানুষ আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) যাদের শ্রেষ্ঠ বলেছেন।
সেই সাথে নবী করিম (সাঃ) এক সাহাবীকে বলেছেন, তুমি কি জানো, আজকে রাতে আমার প্রতি যে দুটি সূরা নাজিল হয়েছে, যে আয়াত গুলো নাজিল হয়েছে, এরকম সূরা বা আয়াত আর একটাও কোরআনে নাজিল হয়নাই,
এবং নবী (সাঃ) মাঝে মধ্যে এই সূরা গুলো দিয়ে ইমাম অতি করতেন, নামাজে পাট করতেন, আমাদের আয়শা রাঃ বলেছেন, নবী (সাঃ) এই সূরা গুলো পরে নিজের শরীরে পরে পুদিতেন, নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতেন।
এই দুটি সূরা নাজিল হওয়ার যে প্রেক্ষাপট, সে ঘটনা শুনলে আমাদের ইমান আরো বেরে যাবে, প্রিয় নবী (সাঃ) একবার অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন এবং অসুস্থটা এমন মারাত্মক ছিল, আম্মা আয়শা রাঃ বলেছেন, অনেক কাজ তিনি করেন নাই অথচ তিনি মনে করতেন তিনি করেছেন, আবার অনেক কাজ করে তিনি ভোলে যেতেন।
তখন কার যেসব বিভিন্ন চিকিৎসকরা ছিলেন, তখন প্রিয় নবী (সাঃ) তাদের সহযোগীতা নিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো ভাবে কাজ হচ্ছিল না, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর নবী (সাঃ) এর চিকিৎসার জন্য দুজন ফেরেস্তা পাঠিয়েছেন,
নবী (সাঃ) স্পনে দেখলেন তাদের মধ্যে একজন ফেরেস্তা তার মাতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আরেক জন ফেরেস্তা নবী করিম ( সাঃ) এর পায়ের কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন, মাতার কাছে যে ফেরেস্তা দাঁড়িয়েছেন ওই ফেরেস্তা পায়ের কাছে তাকা ফেরেস্তাকে জিজ্ঞেসা করলেন যে, নবী (সাঃ) এর কি হয়েছে,
তখন পায়ের নিচে তাকা ফেরেস্তা বললেন, নবী (সাঃ) কে যাদু করেছে, পায়ের নিচে ফেরেস্তা জিজ্ঞেস করার পর মাতার কাছে ফেরেস্তা আবার বললেন, কে যাদু করেছে, মাতার কাছে ফেরেস্তা তার নামও বলেছেন,
(লেভীদেবনে আসাম নামে এক ইয়াহুদী তার উপর দিয়ে মুনাফিক মুসলমান সেজেছিল) সে ইয়াহুদী নবী ( সাঃ) এর উপর দিয়া যাদু করেছে, এটা বলার পর মাতার কাছে ফেরেস্তা বললেন, যাদু টা কোথায় আছে, কিভাবে করেছে, তখন বলা হলো চোলে যাদু করা হয়েছে।
এরপর আবার চোলের কাছের ফেরেস্তা জিজ্ঞেস করলেন, যাদুর সেই সোতাটা কোথায় রাখা আছে, তখন পায়ের কাছে ফেরেস্তা বললেন, পাথরের নিছে ছাপা দিয়ে রাখা আছে, নবী করিম (সাঃ) এর স্পন শেষ হওয়ার পর তিনি আম্মা জান আয়শা রাঃ এবং সবাইকে বললেন এই অবস্থা,
এরপর তিনি সেই সুতা তুলে আনলেন, সুতা তুলে এনে যখন ধংস করলেন, গিরা খোলার ব্যবস্থা করলেন, সে সময় আল্লাহ তায়ালা নবী রাসূল (সাঃ) কে অলৌকিক ভাবে সুস্থ করে দিলেন।
এই জন্য সূরা ইখলাস এবং সূরা নাসকে বলা হয়, মোআওয়াজাকাইন। আপনার যেই কোনো সুবিধায় ইয়াখিন পরিপূর্ণ ভাবে ঠিক রেখে আপনার সাধারণ অসুস্থতা হলে অবশ্যই ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করবেন।
নবী রাসূল (সাঃ) নির্দেশ করেছেন, তোমরা চিকিৎসা গ্রহন কর, আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করন নাই, যে রোগের ঔশোধ সৃষ্টি হয় নাই, সেটা তোমরা করো, এবং সেই সাতে বলা হয়েছে এই কোরআন মানুষের জন্য সেফা হিসেবে আল্লাহ দিয়েছেন। অতএব ইয়াখিনের সাতে আমরা এই আমল করব।
সূরা ফালাক এর অর্থ
বলোন হে রাসূল, আমি আশ্রয় চাই, আল্লাহ ভালো মন্দ সৃষ্টি করেছেন, জিন সৃষ্টি করেছেন, সাপ সৃষ্টি করেছেন শত্রু আপনারই সৃষ্টি, আল্লার কোনো সৃষ্টি যেন কোনো ক্ষতি না করতে পারে, এবং গভীর রাতের যে ক্ষতি আসে তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই, এবং যারা যাদু কর, এদের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, আর মানুষ যখন হিংসা করে বদন জোর করে থাদের কাছ থেকে আল্লাহ কাছে আশ্রয় চাই।
সূরা নাসের অর্থ
হে রাসূল আপনি বলিন, আমি মানুষের পালন কর্তা আল্লার কাছে আশ্রয় চাই, আল্লাহ মানুষের পালন কর্তা আবার মানুষের মালিকও, যিনি মানুষের মাবুদ ইবাদতের উপযুক্ত তার কাছে আশ্রয় চাই, যে শয়তান মানুষকে ভিতরে ভিতরে খারাপ কাজ করতে পরাজিত করে ভালো কাজ করতে দেয়না,
এই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মানুষের রবের কাছে আশ্রয় চাই, সয়তান দুই প্রকার, একটা হলো জিন সয়তান (যেটা আমরা দেখি না আমাদের শরীরের রক্তের সাতে মিশে যেতে পারে), মানুষ সয়তান ও আছে।
অর্থাৎ আমাদেরকে জিন শয়তান এবং মানুষ শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানা চাইতে হবে।