রমজানের স্পেসাল ২৪টি আমল কখনো মিস করবেন না
একজন ঈমানদারের আমলের সবচেয়ে বড় মৌসুম সবচেয়ে বড় সৃজন আমল এবং ঈবাদতের বড়া বসন্ত হলো রমাদান কারিম, যেটা আমাদের দূর ঘড়ায় উপস্থিত প্রায়,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদে প্রত্যককে রমাদান কারিমের সকল আমল গুলোকে গুরুত্বের সাথে একলাসের সাথে সুন্দর এবং শুদ্ধ ভাবে পরিপূর্ণ ভাবে সম্পাদন করার তৌফিক দান করুক।
রমাদান মাস হলো এগারো মাসের আমলের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার মাস, বছর জুড়ে আমাদের যে সমস্ত ত্রুটি বিচ্চুতি হয় সবগুলোকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ইস্তেগপা করে তওবাহ করে কমা করে নেওয়ার, কমা করিয়ে নেউয়ার মাস,
এই মোক্ষম সুযোগ আমাদের দরবারে উপস্থিত হয়েছে, কোরআন এবং হাদীসের আলোকে এই মাস উপলক্ষে এই মাসের বিষেস কিছু আমল আছে করণীয় আছে বর্জনীয় আছে যে গুলো সম্পূর্ণ স্পেসাল রমাদান মাসের জন্য,
আজ আমরা সেরকম কিছু আমলের কথা সেরকম কিছু করণীয় এবং বর্জনীয়র কথা এই পোস্টে আমরা জানব,
রমাদান উপলক্ষে কোরআন এবং হাদীস কেটে আমরা চব্বিশটি আমল বেড় করেছি, চব্বিশটি করণীয় কর্ম সূচি আমরা বেড় করেছি, যে গুলো এই মাসকে কেন্দ্র করে একজন ঈমানদার একজন মুসলমানের করা উচিত,
তাহলে এ মাসটি আমাদের হবে, এ মাসটি আমাদের অর্জনের মাস হবে, এ মাসটিতে আমরা আমাদের কামকিত লক্ষে পৌঁছাতে পারব,
রমজান মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে সাবানের শেষ দিবসে
সাবানের শেষ দিবসে সূর্যওস্তা যাওয়ার সময় আমরা পশ্চিম আকাশে রমাদান মাসের চাঁদ তালাশ করব,
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে তোমরা ঈদ উদযাপন কর, অতএব রমাদান মাসের ঈবাদত এবং আমল করার প্রয়ুজনে আমাদেরকে রমাদানের চাঁদ তালাশ করতে হবে সাবানের শেষ দিকে,
এ আমলটি আমাদের সমাজ থেকে অনেকটা বিলুপ্তির দিকে, আমরা জাতীয় চাঁদ দেখার কমিটির উপর দায়িত্ব দিয়ে আমরা নিজেদের চাঁদ দেখার কোনো প্রয়ুজনিতা অনুভব করি না অথচ চাঁদ দেখা ফরজে কেফায়া,
সমাজের কিছু মানুষই যদি না দেখে তাহলে সবাই গুনাগার হবে, আর যদি চাঁদ দেখে কেউ তাহলে সে ক্ষেত্রে চাঁদ দেখতে পাওয়ার একটি দোয়া আছে,
নবী করিম (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন এ দোয়াটি হলো (আল্লাহ হুম্মা আহিল্লাহু আলাই না বিল ইউম্নি য়াল ঈমান, য়াসসালা মাতি য়াল ইসলাম)
অর্থাৎ হে আল্লাহ এই চাঁদ এই মাসটিকে আপনি আমাদের জন্য বরকতের ইমানের মাস হিসেবে কবুল করেন,
অর্থাৎ এ মাসে যেন আমরা ইমানের সাথে বরকতের সাথে কাটাতে পারি এবং সান্তি সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে মুক্তি এবং নাজাতের মাস নিরাপত্তার মাস হিসাবে যেন আমরা কাটাতে পারি,
তাহলে রমাদান উপলক্ষে আমরা রমজান মাসে চাঁদ দেখার চেষ্টা করব সাবানের শেষ দিবসে, সেটা আমরা প্রত্যেকটা মানুষ যদি চেষ্টা করি যার যার জায়গা থেকে চাঁদ যদি দেখতে নাও পাই
চেষ্টা করার কারণে একটা সুন্নাহ জিন্দা করা একটা আমলের প্রচেষ্টা করার করণে আমাদের আমল নামাতে নেকি লেখা হবে।
দিনের বেলায় রোজা রাখা
সকল প্রপ্ত বয়স্ক সুস্থ বিবেক সম্পন্ন নারী এবং পুরুষের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল ঈমানদার প্রপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য রমাদানে দিনের বেলায় সিয়াম রাখা ফরজ করেছেন,
আল্লাহ বলেছেন তোমাদের পূর্ববর্তী জাতীদের প্রতি যেমম সিয়াম ফরজ করা হয়েছিল ঠিক একিভাবে তোমাদের উপরে সিয়াম রাখা টাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার।
তাহলে রমাদান মাসের সবচেয়ে বড় আমলই হলো রোজা রাখা, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাদেরকে সুস্থ সবল রেখেছেন ইমান যাদের মধ্যে আছে সে মামুষগুলো প্রপ্ত বয়স্ক হলে অবশ্যই তাদেরকে রোজা রাখতে হবে,
রাতের বেলায় তারাবির সালাত আদায় করা
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি রমজান মাসে দাড়িয়ে ঈমানের সাথে একলাসের সাথে আল্লাহর কাছ থেকে সওয়াব পাওয়ার আশায় তারাবির নামাজ পড়বে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ গুলো মাফ করে দিবেন।
এজন্য একজন ঈমানদার রমজান মাসে তারাবির নামাজ পরবেন, তবে তারাবির নামাজ পড়া এটা আমাদের জন্য রোজা রাখার মতন ফরজ করা হয়নাই এটা সুন্নাহ,
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন সাহাবাই কেরামগন জামাতের সাথে গুরুত্বের সাথে এই তারাবির নামাজ আদায় করেছেন,
অতএব তারাবির নামাজ আমাদের কে আদায় করতে হবে এটা রমজানের একটা বড় আমল, তারাবির নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে কোভ বেশি মাত্রা পরিমাণও যেন তারাহুরা না হয়,
তবে যদি কোনো কারণে কেউ কোনোদিন তারাবির নামাজ না পড়তে পারেন তাহলেও থাকে রোজা রাখতে হবে।
রোজা রাখার জন্য সাহরি একটু দেরীতে খাওয়া
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন তোমরা সাহরি কাও, কারণ সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত আছে, সাহরি খাবারের মধ্যে কল্যাণ রাখা আছে,
এজন্য খুব বেশি খেতে ইচ্ছা না করলেও সাহরিতে কিছু একটা খাওয়া এটা সুন্নাহ এবং সাহরি খেতে হয় একটু দেরীতে,
নবী করিম (সাঃ) রাতের শেষের দিকে সাহরি খাওয়ার জন্য আমাদের উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন মুসলমানরা ততদিন পরযন্ত কল্যাণের অধিকারী হবে কল্যাণের মধ্যে থাকতে পারবে যতদিন পর্যন্ত তারা ইফতার তারাতাড়ি করবে এবং সাহরি দেরিতে করবে।
সাহরি দেরিতে করার মানে হলো ফজরের নামাজের ওয়াক্ত যে হবে মিনি মান তার বিশ-পচিশ মিনিট আগে সাহরি খাওয়া শেষ করা,
নবী করিম (সাঃ) সাহরি শেষ করার পড় পঞ্চাশটি আয়াত তেলাওয়াত করার সময় রাখতেন,
ইফতার তারাতাড়ি করা
ইফতার করা নবী (সাঃ) এর সুন্নাহ, এবং তাড়াতাড়ি করা এটাও তার সুন্নত,
বিষেশ করে চতুর্দিকে অন্দকার হয়ে যাওয়ার পর ইফতার করা, এটা সিয়াদের একটা আমল, এটা অন্যান্য অনেক ভদ্রাষষ্ঠ মানুষদের আমল,
আলসসুল জামাআতের সকল উলামায়ে কেরাম ইফতার তারাতাড়ি করাটাকে সুন্নাহ মনে করেন,
কারণ নবী করিম (সাঃ) বলেছেন
এই উম্মত ততক্ষণ কল্যাণের মধ্যে থাকবেন যতদিন পর্যন্ত ইফতার তাড়াতাড়ি করবে এবং সাহরিটা দেরি করে খাবে।
ইফতারের সময় হলে কাছা খেজুর খাওয়া
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন ঈমানদারের সবচেয়ে উত্তম সাহরি হচ্ছে খেজুর, এজন্য আমাদের, সাহরিতে যাই খাই না কেন তার সাথে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য শক্তি আছে,
এই খেজুর প্রচুর পরিমাণ খাদ্য শক্তি থাকার কারণে সাহরিতে বা ইফতারে যদি মানুষ খেজুর খায় তাহলে তার সিয়াম পালন করাটা রোজা রাখাটা নানাদিক থেকে সহজ হয় এবং তার শরীরে খাদ্যের অভাব মুঞ্চনে অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এজন্য সাহরিতে খেজুর খাওয়া,
রমাদান উপলক্ষে দোয়া করা
রমাদান মাসের একেবারে বিষেশ কয়েকটা আমলের একটা আমল হলো বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কারণ নবী করিম (সাঃ) বলেছেন রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ পিরিয়ে দেন না,
যতক্ষণ পর্যন্ত সে ইফতার না করে, এজন্য যে যাই অবস্থায় থাকি না কেন আমরা রোজা অবস্থাতে আল্লাহর কাছে দোয়া নিবেদন করব,
বিষেশ করে ইফতারের আগ মূহুর্তের দোয়া, এই দোয়া আরো বেশি কবুল হয়, কারণ কোনো কোনো হাদীসে ইফতারের আগ মূহুর্তে দোয়া করার কথা বলা হয়েছে,
এজন্য একজন রোজাদার গুটা রমজান মাস জুড়ে প্রতিদিন রোজা রেখে আল্লাহর কাছে তাঁর মনের চাওয়া গুলো পেশ করবে,
দোয়া করার জন্য সবসময় বসে দোহাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা লাগবে এটা জরুরী নয় বরং আপনি হাঁটা চলা করতে করতে বসে বসে শুয়ে শুয়ে এমনকি মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারেন,
আল্লাহর কাছে নিজের চাওয়া গুলো পেশ করতে পারেন নিবেদন গুলু পেশ করতে পারেন, এর মাধ্যমেও ইনশাআল্লাহ আল্লাহ কবুল করবেন,
গুনাহ পরিহার করা
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি রমাদান মাসে রোজা রেখে মিথ্যা কথা ছাড়ে না মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করে না এই ব্যক্তির রমজান মাসে উপবাস থাকায় আল্লাহর কোনো টেকা পরে না,
অর্থাৎ তাঁর রোজাটা সার্থক হবে যদি সে রোজা রেখে মিথ্যা কথা ছাড়তে পারে এবং মিথ্যা কাজ ছাড়তে পারে প্রতারণা ছাড়তে পারে সততা অবলম্বন করতে পারে তাহলেই তার রোজা সার্থক হবে,
এজন্য রমাদান মাসে অন্তত বিষেশ ভাবে একজন ঈমানদার একজন রোজাদার ব্যক্তি গুনাহের কাজ করবে না,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেই মাসে হালাল খাবার প্রজন্ত খাওয়াটাকে দিনের বেলায় হারাম করেছেন সেকানে হারাম কাজ করা কতটা জগন্ন হবে,
অতএব সিয়ামের এই চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে সামগ্রিক জীবনে যেন আমরা আল্লার বয় অন্তরে জাগ্রত করে হারাম থেকে বেছে থাকি, এটা হলো সিয়ামের মূল উদ্দেশ্য,
মিথ্যা এবং ঝগড়া পরিহার করা
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা মিথ্যা কাজ ছাড়ল না তাহলে সে রোজা রেখে পান করল না এটাতে আল্লার কোনো প্রয়োজন টেকা পড়ে না,
অতএব একটা বিষেশ গুনাহ রমজান মাসে কোনো অবস্থাতে মিথ্যা বলা যাবে না,
রমাদান উপলক্ষে ঝগড়া-ঝাটি পরিহার করতে হবে, অন্য সময়ত বাদ দিবেই তবে রমজান মাসে বিষেশ ভাবে ঝগরা-ঝাটি করা যাবে না,
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন কেউ যদি রমজান মাসে রোজা রাখে কারোর সাথে তাঁর কথা কাটা-কাটি তৈরি হয় কেউ যদি তাঁর সাথে ঝগড়া করা সুরু করে সে যেন ওই ব্যক্তিকে বলে দেয়
তোমাদের কথার জবাব আমি দিতে পারি কিন্তু আমি রোজাদার সে জন্য আমি তোমাকে কিছু বলতে পারলাম না, সেকান থেকে সে সবুর করে সরে ঝাবে।
অতএব রমজান উপলক্ষে এটি আমাদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে,
রোজাদার কে ইফতার করানো এবং কোরআান তেলাওয়াত করা
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যদি কোনো ব্যক্তি কোনো রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় তাহলে রোজাদার রোজা রেখে যে পরিমাণ সওয়াব পেয়েছে তাঁরটিত তিনি পাবেনই
অতিরিক্ত হিসাবে আল্লার বান্দা কাউকে ইফতার করিয়েছে আল্লাহ তায়ালা থাকে সম পরিমাণ সওয়াব দান করবেন,
নবী করিম (সাঃ) এর প্রতি আল্লাহ কোরআানে নাজিল করেছেন রমাদান মাসে, রমাদান মাসের পরিচয় দিয়েই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন রমজান মাসটি হলো এমন এক মাস যে মাসটিতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে,
কোরআন অবতীর্ণ করার জন্য এ মাসটিকে আল্লাহ নির্বাচন করেছেন, অতএব এ মাসটির সাথে কোরআনের সম্পর্ক সুনিবিড়, এজন্য এ মাসটিতে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা,
কোরআনে কারিম শোনানো এবং সাদাকা করা
আমরা তেলাওয়াতত সবাই করি কিন্তু শুনানু এ আমল আমরা অনেকেই করি না বা জানি না, নবী করিম (সাঃ) রমজান মাস আসলে জিবরাইলের সাথে কোরআন শুনিয়ে শুনিয়ে করতেন,
এইজে কোরআনে কারিমের তেলাওয়াতের পাশাপাশি কাউকে শুনানো বা পরশপর পরশপরের সাথে শুনা শুনি করা এটা ও রমাদান মাসের বিষেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
আম্মা জান আয়শা রাঃ প্রিয়নবী (সাঃ) সম্পর্কে বলেছেন, তিনি ছিলেন অত্তন্ত দান শিল মানুষ, তাঁর দান শিলতা তাঁর বদান্যতা এই পরিমাণ
থাকত তাঁর কাছে যে সমস্ত সম্পদ মানুষ এনে জমা দিতেন সেগুলো মানুষের মাজে বন্টন করে তাঁর পর তিনি বাসায় যেতেন,
বিষেশ করে নবী করিম (সাঃ) তায়েফ বিজয়ের পর অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছেন, সেই সম্পদগুলো সব মানুষের মাজে বন্টন করে দিয়েছেন,
তিনি ক্রিপন ছিলেন না, দুইহাতে দান করতেন, তার বাসায় খুব বেশি খাবারের আয়োজন থাকত না কিন্তু মানুষকে তিনি দুইহাতে দিতেন,
আম্মা জান আয়শা রাঃ বলেন, নবী করিম (সাঃ) যে দান শিল ছিলেন রমজান শুরু হলে তাঁর সে দান শিলতা হয়ে যেত মুক্ত বাতাসের মত, মুক্ত বাতাস যেরকম সব জায়গায় চলে যায়, যে চায় তাঁর গড়েও প্রবেশ করে যে চায়না তাঁর গড়েও প্রবেশ করে।
নবী করিম (সাঃ) রমজান মাসে যে চায় থাকেও দিতেন যে চায়না তাকেও দিতেন, এজন্য রমজান মাসের একটা বিষেশ আমল হলো দান সাদাকা করা।
রমজান মাসে যাকাত আমরা যনেকে দেই, যদিও যাকাত রমজান মাসেই দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই, বরং আপনি যখন অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন এক বছর যখন সেটা আপমার কাছে ছিল তখন যাকাত ফরজ হয়েছে তখনই যাকাত দিবেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া এবং মিসওয়াক করা
তাহাজ্জুদের নামাজ রমজান মাসে এবং ভোররাতে দোয়া পড়া, এটা রমজান মাসের একটা বিরাট সুজুগ, সারা বছর আমরা বোর রাতে নামাজ পড়ার সুজুগ পাই না,
সারাদিন এবং রাত চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দোয়ার জন্য সবচাইতে আদর্শ সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে কাছে পাবেন বোর রাতে,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দুনিয়ার আসমান থেকে এসে বান্দাকে ডেকে ডেকে কমা করেন এবং তাঁর বিপদ দোর করেন।
আম্মা জান আয়শা রাঃ বলেছেন, নবী করিম (সাঃ) কে আমি মিসওয়াক করতে দেখছি যে গনে শেষ করতে পারব বা, তিনি মিসওয়াক করতেন,
এজন্য আমরা রমাদান মাসে প্রচুর পরিমাণ মিসওয়াক করব, মিসওয়াকের সাথে সুধু দাঁত পরিস্কারের সম্পর্ক না, মিসওয়াকের সাথে আমাদের ব্রেইনের নার্ভের সম্পর্ক,
মিসওয়াকের সাথে আমাদের ঈমানের সম্পর্ক, নবী (সাঃ) তাঁর জীবনের শেষ আমল ছিল মিসওয়াক,
রমজানে উমরাহ করা
আল্লাহ যদি কাউকে রমজানে উমরাহ করার তাও পিক দান করেন, উমরা করার পজিলত হলো নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যদি কেউ রমজানে উমরাহ করে তাহলে অন্য সময় হজ করার সমান সওয়াব সে পাবে,
আর কোনো কোনো বর্ণনায় আসছে নবী সাঃ বলেছেন আমার সাথে হজ করার সওয়াব পাবে, অতএব যাদের তৌফিক আছে আমরা উমরাহ করব, আর তৌফিক না থাকলে আমরা নিয়ত করব।
রমজানের শেষ দশ দিন ঈবাদত বন্দেগী করা
আয়শা রাঃ বর্ণনা করেছেন নবী করিম (সাঃ) রমজানের শেষ দর্শক আসলে যেই পরিমান ইবাদত বন্দেগী করতেন যে পরিমান মেহনত
করতেন দোয়া তেলাওয়াত নামাজ জিকির নফল নামাজ আল্লার দিকে যেই পরিমান রোজী হতেন সে দশদিন আসলে এটা তাঁর জীবনে অন্য কোনো সময় করতেন না,
অর্থাৎ জীবনে ইবাদতের জন্য সবচেয়ে বেশি সাধনা সবচেয়ে বেশি চেস্টা করতে হবে।
রমজানের শেষ দশ দিন এতেকাফ কর
এতেকাফ করা এ আমলটি আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্তির পথে, আমাদের দেশে মসজিদ গুলোতে এতেকাফের জন্য ভারা করে বসাতে হয়,
যে টাকা দিয়ে বসে সেও গুনাহগার এবং যারা টাকা দিয়া বসায় তাঁরাও গুনাহগার, এতেকাফ এমন একটি আমল এ আমলটা প্রায় নবী (সাঃ) এর জীবনে এক বছরও ছাড়েন নাই,
রমজানের রোজা ফরজ হয়েছে যখন তখন থেকে নিয়ে তার রফাক পরযন্ত প্রতি বছর রমজানের শেষ দশ দিন তিনি এতেকাফ করেছেন।
এক বছর তিনি এতেকাফে বসছিলেন বিষেশ কারণে তখন থাকে ভেঙ্গে যেতে হয়ে ছিল পরবর্তী বছর তিনি এসে বিশ দিন এতেকাফ করে আগের বছরের দশ দিন পূরণ করেছেন, তাঁর পড়েও তিনি এতেকাফ কখনো ছাড়েন নাই।
অতএব আমাদের সবাইকে রমজানের শেষ দশ দিন এতেকাফ করার চেষ্টা করতে হবে,
লাইলাতুলকদরের রাত
নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমরা রমজানের শেষ দশকের রাতে লাইলাতুলকদর তালাশ কর, অতএব লাইলাতুলকদর পাওয়ার উদ্দেশ্যে সেই রাতগুলোতে বিষেশ ভাবে একটি দোয়া পাঠ করা,
দোয়াটি হলো ( আল্লাহ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আপ্যায়া পাহপুয়ান্নি) আল্লাহ আপনি কমা শিল, আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন অতএব আমাদেরকে ক্ষমা করেন,
ইফতারের সময় নবী (সাঃ) একটা দোয়া পাঠ করতেন সে দোয়া পাঠ করা,
আমরা বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করার পড় দোয়া পড়ব, তবে অনেকে ইফতারের আগে দোয়া পরে কিন্তুু এটা ইফতারের আগে পড়ার দোয়া না,
দোয়াটি হলো ( জাহাবাজ জামাউ ওয়াবতালাতিল উ’রুকু, ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ) আমার পিপাসা দূর হয়ে গেছে, এবং আমার শিরা উপশিরা এগুলো সবগুলো ভিজেছে অর্থাৎ এগুলোতে পানি পৌঁছিয়েছে সিতল হয়েছে,
এবং আল্লাহ চাইলে এই রোজার বিনিময় আল্লার কাছে সাবস্ত হয়ে যাবে জমা হয়ে যাবে, নবী (সাঃ) এ দোয়া পড়তেন,
প্রতিদিন আল্লার কাছে ইসতেগফার করা
জাহান্নাম থেকে গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা, বেশির ভাগ মানুষ আমরা রমজান মানেই বোঝি চারটি কাজ,
যেমনঃ রোজা রাখা< তারাবি পড়া< সাহরি খাওয়া< ইফতার করা, অথচ এ চার কাজ নয়, আমি এই পুষ্টে অনেকগুলো আমলের কথা বললাম,
এর মধ্যে এই আমলটা বিষেশ ভাবে করা প্রতিদিন আল্লার কাছে চোখের পানি ফেলে দোয়া করা,
নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, তাঁর কাছে জিবরাইল এসে আল্লার পক্ষ থেকে অফার নিয়ে এসে বলেছেন ওই ব্যক্তি ধ্বংস হক যে রমজান মাস পেল অথচ গুনাহ গুলো মাফ করাতে পারল না,
আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে চোখের জল ফেলে দোয়া করতে পারি নিবেদন করতে পারি ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন,
নবী (সাঃ) বলেছেন রমজানের প্রতিরাতে আল্লাহ তায়ালা বহু মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত এই পরোয়ানা গুশনা দিতে থাকেন,
যে কোনো সাধারণ আমল বেশি বেশি করে পড়া
নফল নামাজ নফল জিকির দোয়া গুলা এমাসে বিষেশ গুরুত্বের সাথে করা, কারণ এটা আমলের মাস,
এমাস যখন শুরু হয় আল্লার পক্ষ থেকে একজন গুসক এসে গুসনা দেয়, হে ওই সমস্ত লোক যারা ভালো কিছু করতে চাও তারা সামনে আগাও এটা ভালো কিছু করার মাস,
এজন্য ভালো আমল করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া এবং বেশি বেশি সাধারণ নেক আমল করা।
ফিতর আদায় করা
ফিতর আদায় করা এটা রমজানের একেবারে শেষের দিকে ঈদের এক দুই দিন আগেও দেওয়া যায়,
তবে ঈদের চাঁদ উঠার পড় থেকে নিয়ে ঈদের নামাজের আগ মূহুর্তে এই সময়ে ফিতর দিতে হয়।
ফিতর দেওয়া মানে হলো দুইটা উদ্দেশ্যের একটা হলো নবী করিম (সাঃ) বলেছেন ফিতর এটা হলো রোজাদারের রাকতে গিয়ে যে কিছু
বেহুদা কথা বলেছে ভুলত্রুটি হয়ে গেছে এগুলো থেকে রোজা কে পরিচ্চন্ন করার জন্য এ ফিতর ভূমিকা রাখে,
আার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো ঈদ উপলক্ষে গরীব দুঃখীর বাসায় যেন খাবার থাকে, ঈদের দিন যেন সবাই হাসিমুখে থাকতে পারে,
অন্তত একবেলা খাবার যেন সবার বাসায় থাকে, সে জন্য নবী (সাঃ) ফিতরের ব্যবস্তা রেখেছেন, এজন্য রমজানের শেষ আমল হলো ফিতর, ফিতর দিয়ে রমজানকে বিদায় দেওয়া।