মাত্র ছয়টি কাজে জান্নাত ওয়াজিব

ছয়টি বৈশিষ্ট্যের কথা ছয়টি গুনের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেছেন যদি এ কাজ গুলো কারোর মধ্যে থাকে সে জান্নাতের ফেরদৌসের উত্তরাধিকার হবে ওয়ারিশ হবে, 

ওয়ারিশ আর উত্তরাধিকার এবং মালিক হওয়া কিন্তুু এক বিষয় না, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনে কারিমে প্রতিটি শব্দ ব্যবহার করেছেন তাঁর বহুবিদ হিকমা আছে রহশ্য আছে 

আল্লার কোনো কথা কোনো বাক্য হিকমা থেকে কালি বা শূন্য থাকতে পারে না, কারণ তিনি হাকিম তাঁর কাজে হিকমা প্রখ্যা কোনো সূক্ষত রহশ্য এটা ছাড়া কখনো সাধারণ কথা তিনি বলেন না,

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন ছয়টি গুন যাদের মধ্যে থাকবে এরা হবে ওয়ারিশ, এরা হবে মালিক কিন্তুু মালিকানা টা হবে উত্তরাধিকার সূত্রের,

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এ জান্নাতে যারা যাবে তারা সে কানে চিরকাল থাকবে, আল্লার যত নিয়ামত দুনিয়াতে আছে এই সব নিয়ামত সকল বস্তুু তবে এগুলো সব গুলোতে  দুইটি সমস্যা,

এক নম্বর সমস্যা হলো দুনিয়াতে যত বগের বস্তুু আছে এই কোনোটার ভুগ স্তাই হয় না, তাঁর ছেয়ে বড় কথা হলো প্রাপ্তির ক্ষয় নিশ্চিত থাকে না,

মানুষ সুখের দরা পাবে যে তাঁর কোনো প্রাপ্তির নিশ্চিয়িতা নাই, সুধু মাত্র আমার হাতে নাতে থাকি সুখের জন্য পাব কিনা থা জানি না, যদি আল্লাহ তায়ালা কোনো ভাবেও দিয়ে দেন এটা স্থায়ি  থাকে না, দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায়,

আর আখিরাত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন দুনিয়াতে যত বুগ আছে এ বুগ গুলোর অরজিনাল ভার্সন আল্লার কাছে আখিরাতে আছে, সেকান কার ভোগের স্থায়িত্ব থাকবে, সেটা কখনো মানুষ থেকে হারিয়ে যাবে না,

সূরা মুমিনুনের আয়াতে বলা হয়েছে জান্নাতের ফেরদৌসের উত্তরাধিকারি যারা হবেন মালিক যারা হবেন সে মানুষ গুলোর ছয়টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন এবং এদের বৈশিষ্ট্য বলতে গিয়ে আল্লাহ বলেছেন সে সকল ঈমানদার রা সফল হবে সার্থক হবে।

যাদের নামজের প্রতি মনোযোগ থাকে 

জান্নাতের ফেরদৌসে যারা যাবে তাদের এক নম্বর বৈশিষ্ট্য যোগ্যতা হলো তারা এমন নামাজ পড়বে যে নামাজের প্রতি মনোযোগ থাকবে, তবে চার রাকাত নামাজে চার হাজার কথা সরণ হয়,

আর নামাজে আল্লার ছাড়া সব কতা সরণ হয়, জীবনে যার কথা মনে ছিল না তাঁর কথাও নামাজে দাড়ালে সরণ হয়ে যায়, কারণ হলো আল্লাহ দুনিয়াতে আদম আঃ কে একা পাঠান নাই, 

এই দুনিয়াতে আমাদের বাবা আদম আঃ তাঁর সঙ্গে ইবলিশ, আদম আঃ কে যে ভাবে জান্নাত থেকে থেকে পাঠানো হয়েছে ঠিক সে ভাবে ইবলিস কে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, 

ইবলিশ তাঁর চুরান্ত চ্যালেঞ্জ হলো আপনাকে সে জান্নাতে যেতে দেবে না, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন তোমাদের রক্ত চলাচলের পথে শিরা উপশিরার মধ্যে দিয়ে সয়তান প্রবেশ করে এবং রীতি মত পুরো শরীর কে কনট্রোল করার ক্ষমতা রাখে, 

এ কাজ করার ক্ষমতা আল্লাহ ইবলিশ কে দিয়ে রেখেছেন, সে এবং তাঁর বাহিনী অগনীত লোক আমাদের প্রত্যেকের পিছনে পরিস্রম করছে তাঁর টার্গেট হলো সে জাহান্নামে একা জাবে না, 

যে আদমের কারণে আল্লার থেকে বিতরিত হয়ে আসতে হলো তাকে সে আদমের সন্তান দেরকে সে জাহান্নামে নিয়ে যাবে,

আল্লাহ তায়ালা হালাল উপারজন দিয়েছেন, সেটার দিকে নজর না নজর হলো হারাম টির দিকে, আল্লাহ বলেছেন মানুষের ভেতর কার

সবসময় মন্দ দিকে টানে এর সাথে লড়াই করে সংগ্রাম করে ঠিকে থাকতে হয়, আল্লাহ কোরআানে কারিমে বলেছেন তোমরা নামজ পড় আমার সরণের জন্য, 

নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন ফজরের নামাজের আগে হিম্মত করে আল্লার মুহাব্বাতে আল্লার বয়ে জান্নাতের আশায় বিছানা থেকে

আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে যান এবং গুম

থেকে উঠার দোয়া পড়েন তাহলে সাথে সাথে দেখবেন যে শরীর টা হালকা হয়ে গেছে, 

চোখের গুনাহ থেকে বাছতে হবে এবং নামাজে কি পড়ছেন তা বুঝে বুঝে পড়া দিরস্তিতির সাথে নামজ পড়া

আজ-কাল চোখ দিয়ে হারাম কাজ করা অশ্লিল কাজ করা নোংরা জিনিস দেখা, যত বেশি এগুলো দেখবেন ঈমানের নূর ততোটুকু নষ্ট হবে, ঈবাদতের সাদ পাবেন না,

কিছুদিন পরিক্ষা করে এগুলো থেকে বিরত থাকেন দেখবেন যে ইমানের সাদ ঈবাদতের সাদ আপনি পাবেন, এবং নামাজে মনোযোগের জন্য নামাজে কি পড়ছেন 

সেগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে, দোয়া গুলা আয়াত গুলো সূরা গুলো দরুদ গুলোর অর্থ বুঝ পড়ার চেষ্টা করতে হবে, আর দিরস্তিতির সাথে নামাজ আদায় করলে আপনার অবশ্যই নামাজে মনোযোগ আসবে, 

যাকাত আদায় করা

যারা যাকাত দেওয়া টাকে বুঝা মনে করেন নবী করিম (সাঃ) বলেছেন কিয়ামতের আগে একটা সময় আসবে মানুষ যাকাত দেওয়া টাকে জরিমানা মনে করবে,

অর্থ দন্ড মনে করবে, লস মনে করবে, যতবেশি যাকাত দিবেন তত আপনার ভালো, কারণ সম্পদ যেটা আপনি উপার্জন করেছেন এটা নিজে কেঁয়ে ফেলেছেন এটা আপনার হয়ে গেল, 

আর যেটা দান করেছেন এটা আখিরাতে জন্য জমা হয়ে গেল, এছাড়া যদি আপনি মনে করেন যেটা আছে সব মানুষেরা ভাঙচুর করে নিয়ে যাবে তাহলে আপনার চাইতে বুখা এবং নির্বুদ কে হতে পারে, 

যে আপনি মানুষের জন্য সব রেখে চলে যাচ্ছেন, অতএব আমাদের হিসাব করে করে যাকাত দিতে হবে, 

যারা যাদের লজ্জা স্থানকে হেফাজত রাখে এবং আমানত রক্ষা করে 

যারা ইজ্জত কে সম্ভ্রম কে লজ্জা  স্থানকে কনট্রোল করতে পাড়ে এই লোক গুলো জানাতে যাবে, যারা যাদের আমানতের কিয়ানত করে না, 

নবী করিম (সাঃ) বলেছেন কেউ তেমার সাথে কথা বলেছে কথা বলার পর সেখান থেকে অন্য দিকে ফিরেছে তাহলে এই কথা তেমার কাছে আমানত যেকানে বললে সে অসন্তুুষ্ট হবে সেখানে কথা তুমি বলতে পারবে না,

 তাহলে আমানতের কিয়ানত করা হবে, এভাবে যদি আপনি দেখেন প্রতিটি পদে পদে আমান রক্ষা করা কিংবা নষ্ট করার প্রশ্ন আসে এজন্য আল্লাহ বলেছেন জান্নাতুলদের বৈশিষ্ট্য হলো যারা যাদের আমানত রক্ষা করে এবং অঙ্গীকার রক্ষা করে,

একাজ গুলো যে করবে আল্লাহ বলেছেন এলোক গুলো হলো ওয়ারিশ জান্নাতের অধিকারী যারা জান্নাতের মালিক হবে ফেরদৌস হবে এবং সে কানে চিরকাল থাকবে দুনিয়ার মত ছুটে যাওয়ার হারিয়ে ফেলার বরং একবার জান্নাতে গেলে অনন্ত অসীম কাল পরযন্ত বুগ করতে থাকবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *