আল্লাহর কাছে সমস্ত পাপ ক্ষমা পাওয়ার জন্য স্পেশাল ৬টি আমল
সূরা আল ইমরানে একশোত তেত্রিশ থেকে চৌত্রিশ এ তিনটি আয়াত গুলোতে আল্লাহ তায়ালা মুত্তাকিনের ছয়টি বিষেশ গুন এবং বৈশিষ্ট্যের আলোচনা করেছেন,
এ ছয়টি বৈশিষ্ট্য এবং এ ছয়টি গুন যাদের মধ্যে থাকবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁদের জন্য ওয়াদা করেছেন যে এই লোক গুলো কে আল্লাহ তায়ালা মাগফিরাত এবং ক্ষমার ঘোষণা দিবেন,
যে ছয়টি গুন একজন মুক্তাকিন মানুষের মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে, এবং এই গুন গুলো আমাদের কে কিয়ামতের ভয়াবহ দিনগুলো থেকে আল্লার কাছ থেকে মাগফিরাত এনে দিবে এবং জান্নাত নিশ্চিত করে দিবেন,
নবী করিম (সাঃ) এর বহু হাদীসে মুক্তাকিন দের বহু গুনের কথা আলক পাত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে একটা দীর্ঘ আলোচনায় আমরা চেষ্টা করেছি মুক্তাকিদের কোরআন হাদীসে যতগুলো গুন বলেছে সবগুলো একত্র করার,
আজ আমরা এই পুষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করব সূরা আল ইম রানের একশো তেত্রিশ থেকে চৌত্রিশ এ আয়াত গুলোর মাধ্যমে একান থেকে মুক্তাকিদের ছয়টি বিষেশ গুনের কথা উল্লেখ করব,
এই গুন গুলো যদি আপমার মধ্যে থাকে তাহলে আল্লার সুখর আদায় করবেন, আর যার মধ্যে নেই আমার এই পুষ্ট পরে আপনি মনে মনে নিয়ত করবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, তোমরা আল্লার মাগফেরাতের দিকে দওরাউ, প্রতিযোগীতা কর, অগ্রসর হও, এবং জান্নাতের দিকে অগ্রশর হও,
যে জান্নাতের প্রস্ত নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল সমূহের যে দূরত্ব আছে এরকম সেই জান্নাতের দিকে তোমরা দওরাউ সে দিকে অগ্রসর হও, মুসা রাআ কর,
ফজিলত এবং মর্যাদার অবস্থা
তাঁরা সুখে দুঃখে যখন তারার সচ্ছলতা থাকে তখন আবার যখন টাকা পয়শার টানাটানি থাকে তখন সব সময়ে তাঁরা আল্লাহ কে খুশি করার জন্য দান করেন ভালো কাজে অসহায় মানুষের
সেবায় মসজিদ মাদ্রাসায় কল্যাণ মূলক কাজে সদকায় জারিয়ায় যে কোনো ভালো কাজে আল্লাহ কে খুশি করার জন্য দান করে,
এমন কি আরশের নিচে ছায়া পাওয়া মানুষ গুলোর মধ্যে থেকে সাত শ্রণি মানুষের ভিতরে এক শ্রণি হলো যারা এমন ভাবে দান করে যে তাঁরা এক হাতে দান করে অন্য হাতও টের পায় না,
সাহাবীদের সম্পর্কে নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমাদের কেউ যদি বহুদের পাহার সমপরিমাণ স্বর্ণ আল্লার রাস্তায় দান করে আল্লার নবী সাহাবীদের কেউ সামান্য এক মুট পরিমাণ
অতবা তাঁর চাইতেও কম পরিমান আল্লার রাস্তায় কিছু দান করলে সেটার যে পরিমান সওয়াব হবে তোমাদের বহু পাহার সমান স্বর্ণের দানের সওাব ততটুকু হবে না,
এজন্য মুত্তাকি মানুষ হিসেবে আমরা সুখে-দুঃখে সর্ব অবস্থায় আল্লাহ কে খুশি করার জন্য দান করব,
যারা তাদের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে
আমাদের সমাজে বহু মানুষ আছে রাগ হলে তাদের মাতা ঠিক থাকে না, যারা জান্নাতের মালিক হবে যারা আল্লার পক্ষ থেকে মাগফিরাত কে পুরষ্কার হিসেবে পাবে,
যাদের ক্ষমা লাভের তাওফিক হবে এ মানুষ গুলোর দ্বিতীয় বইশিষ্ট মুত্তাকিদের বইশিষ্ট আল্লাহ বলেছেন তারা রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করবে সংবরণ করবে আঁটকে রাখবে,
এক সাহাবী এসে বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমাকে আপনি একটু উপদেশ দেন, নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমার জন্য উপদেশ হলো তুমি রাগ করবা না,
সাহাবী বললেন হে রাসুলুল্লাহ এটা বুঝলাম আরেকটি উপদেশ করেন, নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন দ্বিতীয় উপদেশটি হলোও রাগ করবা না, সাহাবী বললেন এয়া রাসুলুল্লাহ বুঝলাম আরেকটি করেন,
তৃতীয় উপদেশও তোমার জন্য একটাই রাগ করবা না, নবী (সাঃ) বলেছেন রাগ করবা না জান্নাত তোমার হবে,
যাদের কে আল্লাহ মাগফিরাত পুরষ্কার হিসেবে দেবেন এবং আল্লাহ তায়ালা এহসান কারী দেরকে ভালবাসেন
দুনিয়া থেকে আখিরাতে ভয়ে নিজের অপরাধ পাপা চার নিয়ে পেরেশান থাকবে আল্লাহ তায়ালা থাকে বলবেন তোমার সব গুনাহ মাফ করে জান্নাত পুরষ্কার করে দিলাম, তবে মানুষ কে ক্ষমা করা জানতে হবে,
এহসান মানে যে কোনো ভাল কাজ করবে, আল্লার বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহণ করবে,
পর উপকারী হবে, ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রঃ এদেশের খনজন্ম একজন আলে বীদি ছিলেন,
ইসলামের কুষ্টিয়া হাদীসের প্রফিসার ছিলেন, বহু গ্রন্তের রচইতা ছিলেন, সার রঃ বলেছেন যে আল্লাহ তায়ালা আমাকে কোরআন হাদীসের যতটুকু ইলেম দিয়েছেন আমিন বুঝেছি গুটা ইসলামের দুইটা কথা,
প্রতম হলো আল্লার প্রতি ঈমান আনার পর এবং আল্লার মোটা মোটা মৌলিক ফরজ বিদান মানার পর আল্লার জমিনে যে আমল টাতে আল্লাহ সবচেয়ে খুশি হন কোনো মানুষ যদি কোনো মানুষের উপকার করে,
দ্বিতীয় হলো বড় বড় কবিরা গুনার পড় আল্লাহ সবচেয়ে অসন্তুুষ্ট হন বান্দা যখন আরেক জনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে,
যারা অন্যায় অশ্লিল করে না
অশ্লিল অন্যায় অবিচার হারাম ঝেনা অপরাধ মূলক যে কোনো কর্ম কান্ড কোনো বিবাদ করেছে কাউ কে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে বা কোনো একটা গুনাহ করে ফেলেছে
অতবা নিজের প্রতি নিজে অবিচার করেছে আল্লার কথা সরণ হলে আমার সৃষ্টি কর্তা আল্লাহত দেখছেনই তার কাছেত জবাব দিহি করতে হবে এটা মনে হওয়ার সাথে সাথে এই
অপরাধের জন্য মাফ চায়, আর সে জানে আল্লাহ ছাড়া অপরাধ থেকে কেউ মাফ করতে পারবে না, এজন্য সে আল্লার কাছে মাফ চায়, এই বৈশিষ্ট্য
যে মুত্তাকিদের আছে সাথে সাথে বিলম্ব না করে দ্রুত ভাবে আল্লার কাছে মাফ চাইবে, আল্লার কথা সরণ হবে,
ব্যক্তির একবার একটা পাফ হয়ে গেলে নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করে ভৎসনা করে আর সে সেই অপরাধের ধার কাছে যায় না।