গোপন পাঁচটি আমলে সরাসরি আল্লাহ খুশি হন
কিছু নেক আমল আছে ভালো আমল কাজ আছে যে কাজ গুলো ভালো কাজ ঈবাদত হিসেবে আমাদের সমাজের মানুষের কাছে খুব বেশি পরিচিত না, আমরা ঈবাদত এবং নেক আমল হিসেবে সেগুলো চিনি বা জানি,
তবে আমাদের জানার বাহিরে আরও অনেক নেক আমল আছে ভালো কাজ আছে যে কাজ গুলো আমরা চাইলেই করতে পারি অথচ সেগুলো যে নেক আমল ভালো কাজ সেগুলো
যেল ঈবাদত হতে পাড়ে সেগুলোর কারণে
আমরা আল্লার কাছে সওয়াব এবং বিনিময় পেতে পারি সে সম্পর্কে ধারনা বা জানাশোনা আমাদের নেই সে জন্য আমরা অল্প পরিশ্রমে অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণের সওয়াব আহরণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকি,
আবার এর বিপরীতে কিছু গুনাহ আছে কিছু অপরাধ এবং পাপ আছে যে অপরাধ গুলোর অপরাধ হওয়ার কথা আমরা না জানার কারণে অবলীলায় সে অপরাধে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি,
এবং আমাদের বদ আমলে আমল নামা বারী হয়ে যাচ্ছে, আজ আমরা সেরকম একটি বিষয়ের সাথে পরিচয় হব, যে বিষয়টি আমরা অহরহ অনেকেই করে থাকি, অথচ সেটি অপরাধ সেটা আমরা অনেকেই জানি না,
আর সে বিষয়টি হলো কোনো ভাবে কোনো মানুষ কে যদি আমরা অন্যায় ভাবে কষ্ট দেই এবং যদি কষ্টের কারণ হই তাহলে এর কারণে আমল নামায় গুনাহ লেখা হবে,পাপ হবে গুনাহ হবে,
সেই পাপ এবং সে অপরাধ এবং পাপ কোনো ছোট খাটু পাপ না বরং এটা কবিরা গুনাহ, যেটা তওবা ছাড়া মাপ হবে না,
নবী করিম (সাঃ) কে প্রশ্ন করা হয়েছে (আবু মুসা সাহরি রাঃ আনহু সিনিয়র সাহাবী তিনি বর্ণনা করেছেন) সবচাইতে উত্তম ইসলাম কোন টা, কোন মুসলমান সবচেয়ে উত্তম মুসলমান হতে পারবে,
নবী করিম (সাঃ) সেই উত্তম মুসলমানের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন যার হাত এবং মুখ দাঁড়ায় আাচার-আচরণ দাঁড়ায়,কাজ-কর্মের দাঁড়ায়, উঠা বসার দাঁড়ায় সব মানুষ নিরাপদ থাকে তাঁর কোনো কষ্ট হয় না,
কারুর কষ্টের কারণ হয় না তাঁর ইসলাম টাই হলো সবচেয়ে সুন্দর এবং উত্তম, নবী করিম (সাঃ) এর বিভিন্ন হাদীসের দিকে যখন আমরা তাকাই তখন আমরা দেথতে পাই ভালো মুসলমান কে তিনি চিত্রায়িত করেছেন,
তাঁর ব্যক্তিগত কোনো আমল দিয়ে না, বিষেশ করে সে যখন মানুষের জন্য কল্যাণকর নিজেকে প্রমান করে এবং মানুষ কে তাঁর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে,
যে ব্যক্তি সুন্দর এবং উত্তম রুপে ওযু করে
উত্তম রুপে ওযু হবে তখন যে ওযুতে আপনি কোনো পানির অপচয় করবেন না, আমরা আজ কাল শহরে জীবনে এবং গ্রামেও মঠরে ওযু করি, মঠরে ওযু করতে আমরা যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করি থাতে অনেক পানি অপচয় হয়,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কোরআনে কারিমে অপচয় করতে নিষেধ করেছেন, তবে ঈমানদার কখনো অপচয় করতে পারে না,
এজন্য আপনার ওযুটা সুন্দর হবে তখন যদি আপনি ওযুতে অপচয় না করেন, এবং ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলা যাবে না।
ওযুতে মিসওয়াক করা
বেশির ভাগ মুসলমান ওযুতে মিসওয়াক করতে বুলে গেছে, আমরা শুধু মাত্র ব্রাস এবং টুট পেস নির্ভর হয়ে গেছি, কিন্তুু মিসওয়াকের যে ফজিলত এর উপকারীতা মর্যাদা এটা কখনে অন্য বিষয় দারা মর্যীদ হবে না,
নবী করিম (সাঃ) শেষ আমল যে আমল টা করতে করতে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন সেটার নাম মিসওয়াক, মিসওয়াক এমন একটি আমল নবী সাঃ বলেছেন আমার উম্মতের জন্য কষ্ট কর হবে
আশংকা না থাকলে আমি মিসওয়াক করা টাকে অপরিহার্য করে দিতাম, সবার জন্য এটাকে আবশ্যক করে দিতাম প্রত্যেক নামাজে প্রত্যেক ওযুতে,
নবী সাঃ তাঁর জীবনের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর দৈনন্দিন বারবার তিনি মিসওয়াক করতে থাকতেন, অনেক উলামা বলেছেন মিসওয়াকের মাধ্যমে মানুষের ঈমানের মৃত্যু নসিব হয়, অতএব মিসওয়াক যেন আপনার প্রতিটি ওযুতে অবশ্যই থাকে,
ওযুর মধ্যে সুন্নাহ সম্মত ওযু নবী (সাঃ) যে ভাবে বলেছেন সেটা যেন হয়, নবী সাঃ বলেছেন তোমাদের পায়ের ভিরা এবং কোরালি এগুলো জাহান্নাম থেকে বাঁচাও, ভালো করে ডলে ওযুর কর ওযুর যত্ন নাও,
বিষেশ করে শীতের সম, অতএব উত্তম রুপে ওযু করবেন এরপর যদি কেউ দাঁড়িয়ে আল্লার জন্য ওযুর সালাত আদায় করে অথবা যেখানো সালাত আদায় করে এরপর আল্লার প্রশংসা করে আল্লার মর্যাদা বর্ণনা করে দুনিয়ার
সব কিছু ভুলে আল্লার কথা সরণ করে এবং আল্লাহ কে সরণে আনে তাহলে যে উত্তম রুপে ওযু করে এসব গুলো হয়ে যেতে পারে সূরা ফাতেহা পড়লে, আমরা অনেকেই ওযু করি তবে ওযু করার পড় দুই রাকাত তাহিয়াতুল নামাজ পড়তে জানি না,
আমাদের ওযু করার পড় কোনো কথাবার্তা বলার আগে দ্রুত তাঁর সাথে কেবলা মুখি হয়ে দুই রাকাত নামজ যথাযত ভাবে আদায় করতে হবে, এই আমল করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের মর্যাদা দান করবেন।