হিসাব ছাড়া জান্নাতে যেতে স্পেশাল ৩টি আমল করুন

আজ আমি আপনাদের কাছে ৩টি আমল সিয়ার করতে চাই, আল্লার কাছে একজন ঈমানদারের দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো সুখের সাগরে দুনিয়ার জীবনটা পার করা। 

আর আখিরাতে আল্লাহর কাছে সবচাইতে বড় চাওয়া হলো আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের গুনাহ গুলো মাপ করে আমাদের যেন পরিচ্ছন্ন করে দেন, মুক্ত করে দেন, 

আমরা যেন আখিরাতে নাজাত পেয়ে যাই, আল্লাহ যেন আমাদের কে মাপ করে জান্নাত দিয়ে দেন, এটা হলো আখিরাতের একজন ঈমানদারের সবচাইতে বড় চাওয়া।

আরও পড়ুনঃ ৭টি পাপের শাস্তি দুনিয়ায়তে না পেয়ে মৃত্যু হবে না

দুনিয়াতে ঈমানদারের সবচেয়ে বড় মুসিবতের বিষয় যেটা, তাঁর আখিরাত কে ধ্বংস করতে পারে, তা হলো তার পাপাচার, অপরাধ গুলো, গুনাহ গুলো। 

আমার যে আল্লাহর নাফরমানী না করি, আমরা যেন আল্লাহর অবাধ্য না হই, আল্লার নির্দেশকে লম্বন করি, আল্লাহর নিষেধ গুলোকে অমান্য না করি, 

এটার কারনে আমাদের আমল নামায় যে গুনাহ জমা হচ্ছে, আখিরাতে আমাদের সেই গুনাহ গুলো হবে আমাদের বিপদের কারণ।

আরও পড়ুনঃ ঈমান ভঙ্গের ১০ টি কারণ।

দুনিয়া থেকে যদি আমরা আখিরাতে গুনার বোঝা নিয়ে যাই, আর আখিরাতে আল্লাহ যদি এই পাপ অপরাধ গুলো বিচারের মুখোমুখি করেন তাহলে আর কোনো রক্ষা নেই,

এজন্য আমরা দুনিয়াতে তওবা ইস্তেকপা করে আল্লার কাছ থেকে নিজের পাপ এবং গুনাহ গুলোকে মাপ করিয়ে নিয়ে তারপর দুনিয়া থেকে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, 

এজন্য পাপ হতে পারে কিন্তু তওবা করতে দেরি করবে না,

কারণ সে জানে গুনাহকে আমল নামা থেকে নিজের হিসাবের খাতা থেকে মুছে দেওয়ার জন্য যে রিমুভার আছে সেটা হলো একমাত্র তওবা ইস্তেগফা এবং ইস্তেগফার মাধমে কবিরাহ গুনাহ গুলোকে আমাদের আমাল নামাকে আমরা মুছে দিতে পারি, 

নবী রাসূল (সাঃ) আমাদের অনেক আমল নামা শিখিয়েছেন, তিনি আমাদের প্রতি রউফ ছিলেন, তিনি আমাদের প্রতি অনেক দয়ালু মায়ালু ছিলেন,

আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত আহির বিক্তিতে তিনি আমাদের প্রতিনিয়ত কথা নির্দেশ করেছেন, কিভাবে আল্লাহ গুনাহ মাপ করেন, তারপরে যেতে পারব আল্লাহর কাটগরার আসামী হতে হবে না।  

একজন মানুষ মায়ের গর্ব থেকে একটা শিশু যখন বলিষ্ঠ হয় নবজাত শিশুর যখন জন্ম হয় এই শিশু যে রকম নিস্পাপ তার যখন কোনো আমলে খারাপ বলতে কিছু নাই, 

পুরা প্রপাইল পরিস্কার, নবী আঃ বিভিন্ন হাদীসের আলকে এই আমল গুলোর মাধ্যমে আমাদের বদ আমল গুলো সব মাপ করে নবজাত শিশুর যেমন কেনো প্রপাইলে গুনাহ নাই, অপরাধ নাই এরকম অপরাধ মুক্ত আমরা শিশুর মতন নিস্পাপ হয়ে যাব।        

যে হজের মাধ্যমে আপনি নবজাত শিশুর মতন নিস্পাপ হয়ে যাবেন  

বিষেশ যে শর্ত সারায়াত  আল্লাহ তায়ালা হজের ব্যাপারে  দিয়েছেন, সে সকল শর্ত গুলো পূরণ করে আপনি যদি হজ করতে পারেন, তাহলে সহি মুসলিমের হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা এই ফজিলত আপনাকে দান করবেন।

নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি কেউ বাইতুল্লার হজ করে এবং হজ করতে গিয়ে কোনো প্রকার নারীগনিতে কোনো গুনাহ করে না, স্ত্রী সহবাস করে না, 

যৌনতা সংশ্লিষ্ট কোনো অপরাধে জরায় না, নিজেকে হেপাজত করে কনট্রল করে এবং অন্য কোনো পাপ অপরাধ করে না। 

এইবাবে যদি কেউ হজ করে তাহলে সেই হাজিসাহেব যখন পিরে আসবে তখন সে একটা নবজাত শিশু মায়ের গর্ব থেকে দুনিয়াতে যেরকম আসে ওরকম নিস্পাপ হয়ে সে বাড়িতে পিরে যাবে, 

এই ভাবে যদি কেউ হজ করতে পারে তাহলে তার জন্য পজিলত রয়েছে।

আবার কোরআনে আল্লাহ তায়ালা আরো একটি কথা বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ করবে সে হজে গিয়ে কোনো কারাপ কাজ করবেই না, যনতা বিষয়ে গুনাহত করবেইনা এবং অন্য গুনাহত করবেনা, আর ঝগড়া করবেনা এগুলো থেকে বেছে থাকতে হবে।

অতএব প্রথম আমল হলো এমন হজ যেই হজে রাপাস নাই, পুসোক নাই, যৌনতা বিষয়ে অপরাধ নাই, গুনাহ নাই অন্য কোনো গুনাহ নাই এরকম গুনাহ মুক্ত রাপাস মুক্ত পাসিকি

 মুক্ত হজ যদি কেউ করে পিরে আসতে পারে এই আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা থাকে নিস্পাপ শিশুর মতো করে দিবেন।

যে আমলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবজাত শিশুর মতন নিষ্পাপ করে দিবেন

এই আমলটি সম্পর্কে নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি অযু করবে সেভাবে যেমন অযু করার জন্য আল্লাহ বলেছেন, এর পর দাঁড়াবে দাঁড়িয়ে নামজ পরবে, 

এরপর আল্লাহ প্রসংসাহ করেছে, আল্লাহ অনেক নিয়ামত দিয়েছে সেগুলোর সিক্রিতা সে দিয়েছে, আর আল্লার স্তুুতি গুন গান করেছে, আল্লাহ অনেক নিয়ামত দিয়েছে।

আর আল্লার মর্যাদা বর্ননা করেছে যেমনটি উপযুক্ত আল্লাহ আল্লার শানে শিক্রিতি দিয়েছেন,    

এবং এরপর তার অন্তরটাকে মুক্ত করেছে, 

শুধু আল্লাহকে অন্তরে স্থান দিয়ে দুনিয়ার লোভ লালসা পাপের পথে অন্তরকে পারিস্কার পরিচ্ছন্ন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে অন্তরে স্তান দিয়েছে।

সালাতের পরে আল্লাহর প্রসংসা করে এভাবে যদি কেউ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে  অন্তর দিয়ে সরন করে, আল্লাহ বলেছেন সালাত কায়েম করো আমার জিকির করার জন্য, 

এভাবে যদি কেউ করে তাহলে অযুটা করবে যথাযথ ভাবে যেমন আল্লাহ নির্দেশক করেছেন, 

এরপর দারিয়ে সালাত আদায় করবে সুন্দর ভাবে, তারপর আল্লার প্রসংসাগুন আল্লার মর্যাদার বর্ননা করে নিজের অন্তরটাকে আল্লার জন্য  কালি করে, 

আল্লার সরন অন্তর জিকিরে যে ব্যওি মাসগুল হবে, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, এই ব্যক্তি এই কাজ করার পর থাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সত্য বনিষ্টি শিশুর মত নিস্পাপ করে দিবেন, 

অতএব আমাদের সবাইকে নামাজ পড়ার চেষ্টা করতে হবে, 

আল্লাহ কোনো বিপদ দিলে কোনো অস্তির না হয়ে আল্লাহর প্রসংসা কর

নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হাদীসে কৌতশিতে বলেন, আমি যখন আমার কোনো ইমানদার বান্দাকে পরীক্ষায় পেলাই, 

বিপদে পেলাই সে বিপদে পড়ার পর অস্থিরতা না করে সে আমার প্রসংসা করে।

এবং থাকে যে পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছি, কষ্ট দিয়েছি এজন্য সে সবর করে হা-উতাস না করে বরং উল্টা আল্লার প্রসংসা করে,

আল্লাহ সুখের আখলে যে রকম আপনি আমি খুশি, আল্লাহর শুকর আদায় করে আপনি আমাকে দুঃখে ফেলেছেন একনও আমি আপনার সুখর আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ বললাম, 

এই রকম যদি কোনে হিম্মত ওয়ালা ঈমানদার অবস্থান নিতে পারে, বিপদে সে ভেঙ্গে পড়েনা বরং আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকে, 

যে আমার আল্লাহ আমাকে যে হালে রেখেছেন ভালো রেখেছেন আমি সে হালের উপর খুশি আলহামদুলিল্লাহ বলে মেনে নেয়, যখন উঠে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার সবুরের বিনিময়ে থাকে বনিষ্ট শিশুর মতন নিস্পাপ করে দেন।

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, যারা ধৈর্যশীল হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা কোনো যোগ-বিয়োগ করে দিবেন না বরং আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে সান্তি এবং আখিরাতে জান্নাত দিবেন।

এজন্য  আমাদেরকে দুনিয়া থেকে যাওয়ার আগে নিজের প্রপাইলটাকে আমল নামাকে গুনাহ মুক্ত করার জন্য ইস্তেগফা তওবা এইযে তিনটি আমলের কথা বললাম এই সমস্ত আমল, 

অনন্য গুনাহ মাপের যেসব আমল আছে গনগন পরে আল্লার কাছে যাব, যাতে পাপের বুঝা মাতায় নিয়ে কেয়ামতের ময়দানে দাঁড়াতে না হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *